ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ফণীর প্রভাবে খুলনায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি, বাড়ছে উৎকণ্ঠা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০১ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
ফণীর প্রভাবে খুলনায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি, বাড়ছে উৎকণ্ঠা বাড়ছে শাকবাড়িয়া নদীর পানি/ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে খুলনার কয়রা উপজেলায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিক থেকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় শুরু হয়।

ঘাটাখালী অবস্থানরত কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিক থেকে হঠাৎ উপকূলীয় কয়রা অঞ্চলে প্রচণ্ড ঝড় বইতে শুরু করেছে। প্রবল বাতাসে মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।

যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি তারা ছোটাছুটি শুরু করেছেন।

তিনি জানান, কপোতাক্ষ নদের পানি ঝড়ের প্রভাবে প্রবল বেগে আছড়ে পড়ছে। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীতে যে কয়টি জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে কয়রা একটি।

কয়রার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ খান বলেন, প্রবল বেগে ঝড় বইছে। সবাই আতঙ্কিত। ওয়াবদা রাস্তার কানায় কানায় জোয়ারের পানি উঠে গেছে। যে কোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে নিম্নাঞ্চল।

খুলনার দাকোপ ও পাইকগাছায়ও ব্যাপক বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা শহরজুড়েও দমকা হাওয়া ও বজ্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রমুখী হচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্র কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। অনেকেই জায়গা পাচ্ছেন না আশ্রয়কেন্দ্রে। অনেকে বৃষ্টির মধ্যে দু’তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে অন্য আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। অনেককে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ খবর অনুযায়ী, ফণী শনিবার সকালের দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।