ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

অবৈধ ইটভাটা চিরতরে বন্ধ করা হবে: পরিবেশ মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
অবৈধ ইটভাটা চিরতরে বন্ধ করা হবে: পরিবেশ মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন

ঢাকা: দেশের যতো অবৈধ ইটভাটা আছে তা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

রোববার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, দেশের যেখানে সেখানে ইটভাটা স্থাপন করে আমাদের বন ও পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে।

বেআইনিভাবে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য দেশে ২০১৩ সালে আইন করা আছে। ২০১৯ সালে আবার নতুন করে করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে দেশে কোনো অবৈধ ইটভাটা থাকতে পারবে না।  

তিনি বলেন, বনের দুই কিলোমিটার এলাকায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন করা আইনসম্মত নয়। বনাঞ্চলের কাছে ইটভাটা বন্ধ এবং ইটের ভাটায় জ্বালানি কাঠের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দুই কিলোমিটারের ভেতরে কোনো ছ’মিল থাকতে পারবে না। এগুলো উচ্ছেদ করা হবে। জেলা প্রশাসকরা তা উচ্ছেদ করবেন।  

শাহাব উদ্দিন বলেন, জেলা পর্যায়ে যেকোনো আইনের কার্যকর প্রয়োগের জন্য জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নির্দেশনা ও নেতৃত্বে দেশের পরিবেশ ও বনজ সম্পদ রক্ষা এবং বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তাই যেসব জেলায় সংরক্ষিত বন ঘোষণার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি সেসব জেলায় দ্রুততার সঙ্গে তা সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সভায় জেলা প্রশাসকরা কিছু চাহিদার কথা জানিয়েছেন। সেগুলোর বিষয় তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তারা জানতে চেয়েছেন বন নিয়ে যে আইন রয়েছে সেগুলো ব্যবহারে তাদের কতটুকু ক্ষমতা রয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি তাদের সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া আছে। আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন তারা।  

ইটভাটা উচ্ছেদে রাজনৈতিক প্রভাব দেখা যায়, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় ইটভাটা উচ্ছেদে হাইকোর্টে মামলা দেওয়া হয়। তখন এগুলো উচ্ছেদ করতে পারে না। তাই হাইকোর্টে যদি কোনো মামলা থেকে থাকে তা মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে। এতে করে আমরা মামলা নিস্পত্তিতে ব্যবস্থা নেবো। তখন তারা ব্যবস্থা নিতে পারবে।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা আমাদের বনকে রক্ষা করবো। জেলা প্রশাসকদের সে বিষয়ে সহযোগিতা দেওয়া হবে।  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী বলেন, সেন্টমার্টিন, টাঙুয়ার হাওরসহ ইসিএ অন্তর্ভুক্ত এলাকায় পরিবেশ ও ইকো-সিস্টেমের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় বনায়নের মাধ্যমে এলাকার জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া এবং উপকূলের জেগে ওঠা চরে চিংড়ি চাষ কিংবা অন্যকোনো কাজে ব্যবহারের জন্য বন্দোবস্ত না করার বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণাধীন ১ নং খতিয়ানের বন শ্রেণীভুক্ত জমি লিজ/বন্দোবস্ত না দেওয়ার জন্যও জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।