ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২২টি মন্ত্রলণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মনিটরিং সেলের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

এনামুর রহমান বলেন, এরইমধ্যে সাইক্লোন সেন্টারসহ উপকূলের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি সাইক্লোন সেন্টারে দুই হাজার প্যাকেট করে শুকনো খাবার ও নগদ পাঁচ লাখ করে টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতটি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বুলবুল বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটার এলাকায় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করলে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। মধ্যরাতের মধ্যে ঝড়ের গতিপথ পরিবর্তন না হলে যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে বাংলাদেশে আঘাত হানবে।  

এটি ‘মারাত্মক’ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, এরইমধ্যে সব জেলা, উপজেলা পর্যায়ে জরুরি সভা ডেকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত ৫, ৬, ৭ এ গেলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে আশ্রয়কেন্দ্রে। বিগত দিনে যেভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলও সেভাবেই মোকাবিলা করা হবে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার ১৮ ঘণ্টা আগে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করা হবে। সবাইকে সরিয়ে নিয়ে আসতে পারলে ক্ষতি অনেকটাই কম হবে। মানুষ এবং গবাদি পশু সরিয়ে নিয়ে আসতে পারলে ক্ষেতের ফসল ছাড়া আর কোনো ক্ষতি হবে না।

তিনি আরও জানান, সাতটি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক খোলা হয়েছে। এখান থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং দুর্যোগপূর্ণ এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
  
** সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সংকেত, আঘাত হানতে পারে শনিবার

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এসকে/আরআইএস/জেডএস​

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।