ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনভর ঘন কুয়াশার সঙ্গে প্রচণ্ড শীত আর সন্ধ্যা নামলেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। কোথাও শীতবস্ত্র বিতরণের খবর পেলেই বাড়ছে শীতার্ত মানুষের দীর্ঘ লাইন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে।  

এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও উত্তরের হিমেল হাওয়া আর দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে এ অঞ্চলে। সন্ধ্যা নামার পরপরই রাস্তাঘাট জনমানব শূন্য হয়ে পড়ছে। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।  

কুড়িগ্রাম জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর, ফুলকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী অববাহিকার প্রায় ৪ শতাধিক চরাঞ্চলে বেশির ভাগ মানুষ খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

শীতবস্ত্রের জন্য লাইন।  ছবি: বাংলানিউজঅতিরিক্ত ঠাণ্ডায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। গত তিন দিনে জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে অর্ধশতাধিক শিশু। ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৮ শিশু।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শেষ হয়ে গেলেও হালকা দুই-একদিন বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. খায়রুল আনাম বাংলানিউজকে জানান, জেলায় প্রথম দফায় ১৬ হাজার ৫১৪ ও দ্বিতীয় দফায় ৩৪ হাজার ৯৬০টিসহ মোট ৫১ হাজার ৪৭৪টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো ভাগ করে ৯ উপজেলায় পাঠানো হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়ভাবে শীতবস্ত্র কিনতে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এফইএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।