ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

‘বিধ্বংসী’ রূপ নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে এগিয়ে আসছে আম্পান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
‘বিধ্বংসী’ রূপ নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে এগিয়ে আসছে আম্পান

ঢাকা: দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বিধ্বংসী রূপ নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এতে সাগর প্রবল বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে পুনরায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে পুনরায় ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত আম্পানের ২০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিপদ সংকেত দুটো দেখাতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

সোমবার (১৮ মে) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষ রাত থেকে বিকেল ও সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশর উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

>>>‘বিধ্বংসী’ রূপ নিয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে আম্পান

সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৯০ কিমির মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটা যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরে কোনো ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের ওপরে উঠে গেলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়। আর প্রাক বর্ষা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া এ শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোনের জায়গা দখল করে নিল আম্পান।

এদিকে, ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী সুনিতা দেবী জানায়, মঙ্গলবার (১৯ মে) সারাদিন ও রাতে সুপার সাইক্লোনের (সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৫৫ থেকে ২৬৫ কিমি) তীব্রতা থাকবে। তবে শেষরাতের দিকে উপকূলে আছড়ে পড়লে এটির তীব্রতা কিছুটা কমে অতি প্রবল (সর্বোচ্চ ২১০ থেকে ২৩০ কিমি) ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তাণ্ডব চালাবে। এরপর আরও শক্তি ক্ষয় করে উপকূল অতিক্রম করে সমতলে উঠে আসার সময় বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যার দিকে এটির গতি নেমে আসবে ১৭০ কিমিতে (খুব প্রবল ঘূর্ণিঝড়)। বৃহস্পতিবার (২১ মে) নাগাদ ঝড়টি শান্ত হয়ে নিন্মচাপে পরিণত হবে।

বর্তমানে ঝড়টির যে অভিমুখ রয়েছে তা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ-কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে সীমান্তের ওপারে আসাম পর্যন্ত নির্দেশ করছে। তবে দেশের অভ্যন্তরে এটি তাণ্ডব না চালালেও বজ্রসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর ক্ষয়ক্ষতিরও একটি সম্ভাব্য পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। এতে ঘরবাড়ি, রেল যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, গাছপালা, পশুপাশি এবং শস্যের ক্ষতি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে উড়িষ্যার ৭শ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এলেও রাজ্যটিতে এবার তেমন ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে না। বরং পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই ভাবছে দেশটি।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।