ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার, ৮ জেলায় চাল-টাকা বরাদ্দ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার, ৮ জেলায় চাল-টাকা বরাদ্দ

ঢাকা: উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় ডুবতে বসেছে জনপদ এবং ফসল। পানিবন্দি হচ্ছে হাজারো মানুষ। এই বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। বন্যা কবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ ও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববারের (২৮ জুন) মধ্যে জেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। নগদ ৪৭ লাখ টাকা এবং ৪৬০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. মোহসীন বাংলানিউজকে বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় সব সময় খেয়াল রাখা হচ্ছে, আমরা প্রস্তুত আছি।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসকদের অধীনে সব সময় ত্রাণ বরাদ্দ রাখা থাকে। আজ অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়েছি। কুড়িগ্রাম ও সুনামগঞ্জে অতিরিক্ত বরাদ্দ দিচ্ছি।  

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সুনামগঞ্জে ফ্লাসফ্লাডের কারণে বন্যার পানি বেশি বাড়ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ত্রাণ) মো. ইফতেখারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আমরা বন্যা কবলিত আট জেলা চিহ্নিত করেছি। করোনার জন্য জেলা প্রশাসনের অধীনে ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া আছে। কিন্তু বন্যায় তা ব্যবহার করা যাবে না। এজন্য নতুন করে বরাদ্দ দিচ্ছি।

তিনি জানান, আট জেলায় ৪৬০ মেট্রিক টন চাল এবং ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিচ্ছি। জেলার বন্যার অবস্থা বুঝে বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে সুনামগঞ্জে একটু বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে। তবে এখনো অতিরিক্ত ডিমান্ড পাইনি।

জেলা প্রশাসনের অধীনে সব সময় নগদ টাকা ও টিআর চাল বরাদ্দ থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, কোথায় কতটুকু প্রয়োজন সে অনুযায়ী বরাদ্দ রয়েছে। আর বন্যার মতো দুর্যোগে শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দেশের ১০১টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি স্টেশনের মধ্যে সর্বশেষ তথ্যে ৯টিতে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে কুমিল্লা অঞ্চলসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ভারতের চেরাপুঞ্জ, পাসিঘাট, শিলং, জলপাইগুড়ি এবং বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং নীলফামারীতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরফলে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, লালমনিরহাট, নীলফামারী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।