শনিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টায় ধরলার পানি নতুন করে বেড়ে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমা সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানিও বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানি বাড়তে থাকলে জুলাইয়ের মাঝামাঝি কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকা আবারও মধ্যমেয়াদি বন্যার কবলে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা যায়, বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত খাদ্য ও নগদ অর্থ মজুত রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার সবক'টি উপজেলায় ৪ লাখ সাড়ে ২৮ হাজার পরিবারের জন্য ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বন্যা মোকাবিলায় খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৩৯০ মেট্রিক টন চাল ও ৮ লাখ টাকা প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি শিশু ও গো-খাদ্য বাবদ আরও দুই লাখ টাকা মজুত রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আগামী কয়েকদিন জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়বে। পানি বাড়তে থাকলে মধ্য জুলাইয়ে জেলার নদ-নদী অববাহিকায় আবারও একটি মাঝারি বন্যা দেখা দিয়ে তা ৭-১০ দিন স্থায়ী হতে পারে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল ও শুকনো খাবারসহ শিশু খাদ্য সরবরাহের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গবাদি পশুর খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্যও বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা প্রয়োজন সাপেক্ষে বণ্টন করা হবে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদশে সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
এফইএস/এএটি