ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বন্যাজনিত কারণে ৮১ উপজেলায় মৃত্যু ১২২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
বন্যাজনিত কারণে ৮১ উপজেলায় মৃত্যু ১২২

ঢাকা: বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত দেশের ৮১ উপজেলাকে বন্যা দুর্গত উপজেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে দুই দফা বন্যার শিকার দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের ৩১ জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।

এদিকে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও বন্যার পানি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৩১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, আরটিআই, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, সাপে কাটা, পানিতে ডুবে, বন্যাজনিত কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ও শ্বাসনালির প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৫২ জন। এছাড়া পানিতে ডুবে, ডায়রিয়ায়, সাপের কামড়ে ও বজ্রপাতে ১২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর মুখপাত্র ডা. আয়শা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুসারে, দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের ৩১ জেলার নিম্নাঞ্চলে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ পানিবন্দি আছেন। এছাড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১২ হাজার ২৫২ জনের মধ্যে মাদারীপুরে সবচেয়ে বেশি তিন হাজার ৭৫ জন। টাঙ্গাইলে এক হাজার ৬৬৭ জন, নেত্রকোণায় এক হাজার ৮৯ জন, সিরাজগঞ্জে এক হাজার ১২ জন ও কুড়িগ্রামে ৮১৬ জন।

৩১ জেলার মধ্যে জামালপুরে মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি ২৭ জন, কুড়িগ্রামে ২০ জন, টাঙ্গাইলে ১৬ জন, লালমনিরহাটে ১১ জন, সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধায় ১০ জন করে ২০ জন মারা গেছেন।

অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, বন্যা দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ডায়রিয়ায় পাঁচ হাজার ১২৬ জন, আরটিআইএ এক হাজার ৪৫১ জন, চর্মরোগে দুই হাজার ৯৪ জন, বাকিরা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

আয়শা আক্তার বলেন, ৩১ জেলার বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে সিভিল সার্জন, স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সবসময় তদারকি করছেন। সরকারের সব মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে বন্যা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।

তিনি বলেন, বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও অন্যান্য ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যা দুর্গত এলাকার আক্রান্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এ মুহূর্তে দেশের অনেক জেলা বন্যায় ভেসে গেছে। সব বানভাসি মানুষদের কি করে স্বাস্থ্য বিষয়ে সাহায্য করা যায়, সে বিষয়েও সকালে সিভিল সার্জনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বর্তমান সময়ে মহামারি ও বন্যা মোকাবিলায় প্রধান কাজ। এ দুটো বিষয়কেই প্রধান্য দিয়ে কাজ করবো। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
পিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।