পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে প্রচণ্ড তাপদাহ ও শ্রাবণের খরতাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষের জনজীবন। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের কর্মজীবন।
আষাঢ় মাসের বৃষ্টি-বাদল নিয়ে একশো উনিশ বছর আগে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে/ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। ’
অথচ বর্তমানে শ্রাবণের এই খরতাপে যেন কবির সেই ছন্দ পাল্টে গিয়ে হয়েছে, ‘নীল নবঘনে শ্রাবণ গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে/ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। ’এদিকে সরেজমিনে সোমবার (৩ আগস্ট) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একটু স্বস্থির নিশ্বাস ফেলতে গাছের তলা, বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন। এর সঙ্গে বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি।
এদিন আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত রোববার (২ আগস্ট) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিকর হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন।
রিকশা ও ভ্যানচালক জব্বার ও আনারুল বাংলানিউজকে জানান, প্রচণ্ড রোদের তাপ ও গরমের কারণে লোকজন রিকশা ও ভ্যানে উঠছে না। অনেকই আবার বাড়ি থেকেও বের হয়নি। গত কয়েকদিনের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে গেছে গরম। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গরমের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানালেন ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘন্টা, আগস্ট ০৩, ২০২০
এএটি