ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে সর্বাধিক সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। তরুণরাই আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, কোস্টাল ইয়ুথ অ্যাকশন হাব, বিন্দু, বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে ‘ইয়ং পিপল লিডিং কোস্টাল রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মের আবিষ্কারে সহায়তা করতে সম্প্রতি স্পেশাল ডেল্টা ফান্ড প্রণয়ন করা হয়েছে।
তাছাড়া আগামী মাসে দেশে রিজিওনাল অ্যাডাপটেশন সেন্টার স্থাপন হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ বছরে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ ঘোষণা করা হয় এবং বিশ্বের ৭৫টি দেশের প্রায় ১২শ প্রতিনিধি ক্লাইমেট রিজিলেন্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন বলেও জানান আব্দুল মোমেন।
ওয়েবিনারে ‘কোস্টাল ইয়ুথ অ্যাকশন হাব’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধনও করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক বলেন, আমরা সবাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে অবহিত। কিন্তু আমারা যেটা বুঝি না সেটি হচ্ছে আমদেরই এই সমস্যা নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থা পৃথিবীর কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ। তরুণ প্রজন্ম বোতল বাতি স্থাপনের মতো বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে, যা প্রশংসনীয়।
এতে আরো বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর (ইনক্লুসিভ কমিউনিটিস) ড. শাহনাজ করিম, পিকেএসএফ চেয়ারম্যন ড. কাজী খলিকুজ্জামান, মানবাধিকার কর্মী শিপা হাফিজা, বরিশালের ডিসি এসএম আজিওর রহমান, এশিয়া অঞ্চলের কপ-২৬ এর আঞ্চলিক প্রতিনিধি কেন ও ফ্লেয়াথি, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফোকার্ট ডি জাগের, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর কো-অর্ডিনেটর শাকিলা ইসলাম, বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট এর চিফ এক্সিকিউটিভ সোহানুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
এসই/এএ