ঢাকা: বৃষ্টিপাত বাড়ায় এবং বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় সারাদেশে তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে গরম অনুভূতিও। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় তাপমাত্র ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে, যা বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ছিল ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও একদিনের ব্যবধানে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইজদী কোর্টে, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে, ৯১ মিলিটার।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বর্ষণও হতে পারে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মােটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বয়ে যেতে পারে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নাগাদ বৃষ্টিপাতের বর্তমান প্রবণতা অব্যহত থাকবে। আর বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
এদিকে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশাের, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নােয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টি অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/