ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জাতীয় পরিবেশ পদক পাচ্ছে বুয়েটসহ ৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
জাতীয় পরিবেশ পদক পাচ্ছে বুয়েটসহ ৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

ঢাকা: দেশের পরিবেশ উন্নয়নে অসামান্য এবং অনুস্মরণীয় অবদান রাখায় জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২০ এন জন্য তিনজন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার।
 
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ মনোনয়ন চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
 
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কনকর্ড রেডিমিক্স অ্যান্ড কংক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেড ও কনকর্ড প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট অ্যান্ড ব্লক প্ল্যান্ট লিমিটেড কনকর্ড সেন্টারকে মনোনীত করা হয়েছে।
 
এছাড়া, পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে খ্যাতিমান জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. সালীমুল হক এবং  প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)-কে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
 
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে ড. জহুরুল করিম এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
 
জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত প্রতিটি ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ২২ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্য ও অতিরিক্ত আরো ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হবে।
 
সভায় অন্যদের মধ্যে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. একেএম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিবেশ এবং বৃক্ষের কল্যাণে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছেন। অধিকাংশ মানুষ যেখানে সাময়িক ব্যক্তিস্বার্থে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে চলেছে, সেখানে ওয়াহিদ আলী সরদারের মতো মানুষ গাছের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে হাজার হাজার গাছ থেকে পেরেক ওঠানোর কাজ করছেন। নীরবে কাজ করে যাওয়া এসব মানুষকে উৎসাহ দিতে ভবিষ্যতে পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।