ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বিক্ষোভ

রংপুর: তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শনিবার (২০ মার্চ) রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের সভাপতি পলাশ কান্তি নাগ বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীতে বাঁধ-ব্যারেজ নির্মাণ করে একতরফভাবে পানি প্রত্যাহার করছে। ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশের কৃষি-পরিবেশ-প্রকৃতি বিপন্ন দশায় পতিত হচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ক্ষমতাসীন সব শাসকগোষ্ঠীর ভারতের প্রতি নতজানু নীতির কারণে আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছি। ভারত বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে সুন্দরবনে প্রাণ-প্রকৃতি বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণসহ নানা অন্যায্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ে তৎপর রয়েছে।

বক্তারা বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে সরকারের আলোচনা উত্থাপন করা উচিত। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসবের আগেই তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারকে সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে।  

উত্তরবঙ্গ তথা বাংলাদেশকে মরুকরণের বিপদ থেকে রক্ষা করতে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের বিকল্প নেই।

সমাবেশ থেকে সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা ও দোষীদের বিচারের দাবি জানানো হয়।

একইসঙ্গে ভারতের পানি আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।  

তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা পলাশ কান্তি নাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সদস্য সবুজ রায়, নিপীড়নবিরোধী নারীমঞ্চের সদস্য সুলতানা আক্তার, শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন আহম্মেদ বাবু, সাংস্কৃতিক কর্মী নাসির সুমন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।