ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: চাঁদপুরে বাতাসের সঙ্গে বাড়ছে পদ্মা-মেঘনার পানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: চাঁদপুরে বাতাসের সঙ্গে বাড়ছে পদ্মা-মেঘনার পানি ছবি: বাংলানিউজ

চাঁদপুর: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে চাঁদপুরে বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে নদী উপকূল ও চরাঞ্চলে। সেইসঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা-মেঘনার পানি।

 

স্থানীয়ভাবে নদী বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে। চরাঞ্চলের বাসিন্দা ও জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য মাইকিং করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মৎস্য বিভাগ।

বুধবার (২৬ মে) ভোর থেকে বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। মেঘনা নদীতে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে শহর রক্ষা বাঁধে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষায় কয়েক হাজার বালু ভর্তি জিও ট্যাক্সটাইল ব্যাগ প্রস্তুত রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

শহরের পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে নদী পাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। জেলেরা নৌকাগুলো মেঘনা সংযুক্ত খালের মধ্যে এনে রেখেছেন।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমরা আগাম বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ প্রস্তুত রেখেছি। শ্রমিকরা কাজ করছেন। আমাদের পুরো ডিপার্টমেন্ট সতর্ক অবস্থানে আছে।

চাঁদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শাহ মুহাম্মদ শোয়েব বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুরসহ চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলে ৩ থেকে ৬ ফুটের বেশি উচ্চতায় জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে। বাতাসের গতি ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গত ১২ ঘণ্টায় চাঁদপুরে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।

হাইমচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেল থেকেই উপজেলার জেলেপাড়া ও নদী উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে জেলেদের নিরাপদ আশ্রয় থাকার জন্য বলা হয়েছে।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের জনবল কম। তারপরেও এই দুর্যোগের সময় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। প্রশাসনের সঙ্গে আমরা লোকজনদের নিরাপদে থাকতে সতর্ক করার জন্য কাজ করছি।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, জেলায় দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে নগদ ২ কোটি ৫৯ লাখ ৫শ টাকা, ১০২ মেট্রিক টন চাল, ১৭২ ব্যান্ডেল টিন, শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের জন্য ১৮ লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। ৮ উপজেলায় ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও প্রতিটি উপজেলায় জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।