খুলনা: আষাঢ়ের ধারাপাতে খুলনায় স্বাভাবিক জীবনে ছন্দপতন ঘটেছে। টানা এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রোববার (২০ জুন) দিনভর আকাশ কালো মেঘ ঢেকে আছে। দেখা মেলেনি সূর্যের। ভারী বর্ষণে মহানগরীর বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। নগরীর নিম্নাঞ্চলে হাঁটু সমান পানি জমেছে। বৃষ্টির কারণে সকালে কাকভেজা হয়েই কর্মস্থলে যেতে হয়েছে চাকরিজীবীদের। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে অনেক পরিবহনকে। ঝুম বৃষ্টির প্রভাবে রাস্তায় লোকজনের আনাগোনা তুলনামূলকভাবে কম।
মুষলধারে বৃষ্টিপাতে মহানগরীর রয়্যালের মোড়, বাইতি পাড়ার রোড়, শামসুর রহমান রোড, মিস্ত্রিপাড়া, সিমেন্ট্রি রোড, মুজগুন্নী সড়ক, এম এ বারি লিংক সড়ক, শিপইয়ার্ড সড়কসহ নিমাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। রাস্তার পাশের ড্রেনগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কগুলোতে দেখা দিয়েছে যানজট। রিকশা, ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রে আদায় করা হচ্ছে দু-তিন গুণ বেশি ভাড়া।
এদিকে, টানা কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে খুলনার উপকূলবর্তী উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, ফসলি জমি, পুকুর, ঘর-বাড়ি। বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলবাসীর জনজীবন। জলাবদ্ধতায় স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খুলনায় বৃষ্টি হয়েছে ৭৭ মিলি মিটার। আজকে এটা সর্বোচ্চ ভারি বৃষ্টি। আশা করা যাচ্ছে, আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কমবে। গত ১৪ জুন থেকে কখনও হালকা কখনও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে খুলনায়। ১৪ জুন থেকে ২০ জুন বেলা ৩টা পর্যন্ত খুলনায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩০ মিলি মিটার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
এমআরএম/ওএইচ/