ঢাকা: মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় দেশের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম-খুলনা-সিলেট বিভাগে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টার এ হিসাব দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রায় সব স্থানে মাঝারি থেকে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। এক্ষেত্রে সন্দ্বীপে ১০৯, সীতাকুণ্ডে ৮৩ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। খুলনা বিভাগের খুলনায় ১০৪ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। আর পুরো দেশের মধ্যে এদিন সবচেয়ে বেশি বর্ষণ হয়েছে সিলেট বিভাগের সিলেটে, ১৫৩ মিলিমিটার।
অন্য বিভাগেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বর্ষণ হয়েছে। তবে রংপুর বিভাগ ছিল প্রায় বৃষ্টিশূন্য। সবগুলো স্টেশনেই শূন্য মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে এ বিভাগে। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুছ জানান, বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিভারী বর্ষণের আভাস রয়েছে। দু’দিন পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে হবে সামান্য পরিবর্তন।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় এসময় দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিমি।
বুধবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা ও চুয়াডাঙ্গায়, ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে সর্বোচ্চ আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২১
ইইউডি/এএ