ঢাকা: চোখের দৃষ্টিসীমায় কেবল কালো মেঘ আর মেঘ। মনে হচ্ছে বৃষ্টিতে ডুবে যাবে সব।
ভূপৃষ্ঠের থেকে পানি সূর্য তাপের কারণে বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুমণ্ডলে ওঠে যায়। এসব বাষ্পই মেঘ হয়ে ভেসে বেড়ায়। আবার উপরের তাপ কমে গলে তা জমে পানির কনায় রুপান্তর হয়। আর পানির কনা বড় হলে বা মেঘ ঘন বা ভারী হলে তা নিচে নেমে আসে। যাকে আমরা বৃষ্টি বলি।
বর্ষা এবং শরৎ কালে ‘এই বৃষ্টি এই রোদ’ এমনটা বেশি দেখা যায়। বিষয়টিকে খেকশিয়ালের বিয়ে বলেও মনে করে থাকেন। আসলে এগুলো হয় মেঘের ঘনত্ব আর অবস্থানের কারণে।
মেঘ যেখানে অবস্থান করে সেখানেই বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর হালকা হয়ে সরে গেলে রোদের দেখা মেলে। আবার একই মেঘের সবটা জুড়ে সমান ঘনত্ব থাকে না, তাই একই সময় একই এলাকার সকল স্থানে বৃষ্টি হয় না।
বিষয়টি নিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমী বায়ু প্রভাবে এমন বর্ষণ আমরা বেশি দেখি। এ কারণে মেঘের উপস্থিতি দৃষ্টিসীমার পুরোটা জুড়ে থাকলেও সকল স্থানে বৃষ্টি হয়না। কেননা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার মতো যতটা ভর পানির কণাতে থাকার কথা, ততটা থাকে না। তাই এক এলাকায় বৃষ্টি হলেও অন্য এলাকায় হয় না। আবার একই এলাকার কিছু অংশে বৃষ্টি হয়, অন্য অংশে বৃষ্টি হয় না।
এই কারণেই মিরপুরে ঝুম বৃষ্টি হলেও একই সময় ধানমন্ডিতে বৃষ্টি হয় না। আবার দেখা যায় রোদের মধ্যেও বৃষ্টি হচ্ছে। কারণ মেঘের ঘনত্ব কম হওয়ায় তা ভেদ করে রোদ চলে আসছে নিচে। কিন্তু পানির কনার ভর বেশি হওয়ায় নিচে পড়ছে। সেটা শেষ হলে আবার ঝলমলে রোদের দেখা মিলছে। শহরে এই বিষয়টি খুব চোখে পড়ে না ভবনের কারণে। তবে গ্রামে দিগন্ত জোড়া খোলা মাঠে রোদ-বৃষ্টির খেলাটা বেশ জমে ওঠে।
বর্ষা শুরু হয়ে গেছে। আষাঢ় শেষ হতে চললো। আরো প্রায় তিন মাস আছে শরৎ কাল শেষ হওয়ার। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু তথা বর্ষা থাকবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ এই পুরোটা সময় জুড়েই মিলবে ‘এই বৃষ্টি এই রোদ’। অথবা দেখা দিলবে এক এলাকা ভিজে জুবুথুব, অন্য এলাকা শুকনো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
ইইউডি/কেএআর