ঢাকা: সকালের আকাশ দেখে বৃষ্টিপাতের কোনো আভাসই মেলেনি। ঝলমলে রোদ ওঠেছিল।
বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় পানি জমে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। সড়কে বাধে যানজট। ঈদের কেনাকাটায় যারা বাইরে বের হয়েছেন তারা মোটামুটি নাকাল।
আসাদুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, সকালে প্রখর রোদ দেখে প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। মার্কেটে ভিড় বেশি থাকায় বাধ্য হয়ে তাদের বাইরে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি তাদের ভিজতে হয়েছে।
এদিকে কোরবানির পশুর হাটে গিয়েও অনেকে ভিজে একাকার। বিপ্লব রহমান নামে এক ব্যক্তি গিয়েছিলেন পশু কিনতে শাহজাহানপুর হাটে। তিনি বলেন, পশু কেনার আগেই ভিজে একাকার বলে জানান তিনি।
বৃষ্টিতে রাজধানীর সড়কে পানি জমে কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টিও হয়েছে। এই বৃষ্টি অনেকেই বিপাকে ফেললেও, কেউ আবার আনন্দেও মেতে ওঠেন। কেননা, বৃষ্টিতে ভিজে অনেককে গোসলও সেরে নিতে দেখা গেছে বাড়ির ছাদে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মােটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থায় সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল নাগাদ রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে।
তিনি বলেন, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২১
ইইউডি/আরআইএস