কুড়িগ্রাম: দেশের সর্বউত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে গত দুইদিন ধরে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আবারও বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে জেলায় ৬ হাজার ৮০ হেক্টর রোপা আমন ধান ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র।
এতে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার রোপা আমন, পটলসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, গঙ্গাধর নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলায় ৬ হাজার ৮০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে রোপা আমন ৫ হাজার ৯৬৭ হেক্টর এবং সবজি ৮০ হেক্টর। এছাড়াও করোনায় পুনর্বাসন হিসেবে ১ হাজার ৪০০ কৃষককে বিআর-২৩ ও বিআর-৩৪ নাভি জাতের ৫ কেজি করে বীজ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বাংলানিউজকে জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ৯টি উপজেলায় আগাম ৩৮ লাখ টাকা উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভারী বৃষ্টি ও উজানের পানিতে দ্বিতীয় দফায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২১
এফইএস/কেএআর