ঢাকা: হু-হু করে বাড়ছে নদ-নদীর পানির স্তর। ধলেশ্বরী, পদ্মা ও যমুনার পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটারের বেশি ছাড়িয়ে গেছে।
পাউবো জানিয়েছে, বানের পানিতে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর এবং ফরিদপুর অর্থাৎ মোট ১১টি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে সাতটি নদ-নদীর পানি ১৬টি স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারীতে ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং হাতিয়ায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া নতুন করে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে ঘাঘট নদীর পানি, গাইবান্ধায় প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
যমুনার পানি গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সাঘাটায় ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, জামালপুরের বাহাদুরাবাদে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, কাজিপুরে ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সিরাজগঞ্জে ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়িতে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাবনার মথুরায় ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও মানিকগঞ্জের আরিচায় ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া আত্রাইয়ের পানি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ধলেশ্বরীর পানি টাঙ্গাইলের এলাসিনে ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং পদ্মার পানি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার পানি ভাগ্যকুল ও মাওয়া পয়েন্টে বৃহস্পতিবারের মধ্যে (২ সেপ্টেম্বর) বিপৎসীমা অতিক্রম করার আভাস রয়েছে।
পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) ৫০টিতে পানির সমতল বেড়েছে। কমেছে ৫২টি স্টেশনের পানির সমতল। অপরিবর্তিত আছে সাতটি স্টেশনের পানির সমতল। আর ১৬টি স্টেশনের পানির সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
ইইউডি/এএটি
.jpg)
