ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

মোবাইলে ৩ দিন আগে মিলছে বন্যার পূর্বাভাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
মোবাইলে ৩ দিন আগে মিলছে বন্যার পূর্বাভাস

ঢাকা: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা পৌঁছাতে একটি উন্নত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরি করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ও এটুআই এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।

 

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় রোববার (২৪ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বন্যা শুরুর তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা সময় আগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের ফোনে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা পাঠানো হচ্ছে।  

সোমবার (২৫ অক্টোবর) এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা উদ্বোধন করবেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

রাজধানীর গ্রিনরোডের পানি ভবনে মন্ত্রণালয় আয়োজিত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার প্রযুক্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।  

পূর্বাভাসের প্রক্রিয়া বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন সারাদেশের ১০৯টি স্টেশন থেকে বন্যা মনিটরিং তথ্য সংগ্রহ করে এটুআইয়ের মাধ্যমে গুগলের কাছে পৌঁছানো হয়। গুগল ফোরকাস্টিং মডেল ব্যবহার করে বন্যা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় তিনদিন থেকে তিন ঘণ্টা আগে ইন্টারনেট সংযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্বাভাস পৌঁছে দিচ্ছে।  

সংশ্লিষ্ট এলাকার বাইরের কেউ যদি ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় যান তাহলে গুগল তার অবস্থান শনাক্ত করে নোটিফিকেশন পাঠাবে। গুগল ম্যাপেও নোটিফিকেশনের বিস্তারিত এবং বন্যা বিষয়ে নানা রকম পরামর্শমূলক তথ্য দেওয়া হচ্ছে।  

এ ব্যবস্থায় আগামীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশসহ উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস জনিত বন্যার পূর্বাভাস পৌঁছানোর বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ চলছে। একই সঙ্গে পূর্বাভাস সময় বাড়িয়ে ৭-১০ দিন করার কাজ চলমান আছে।  

মন্ত্রণালয় জানায়, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতবছর বন্যা ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার জনগণের তিন লাখ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে ১০ লাখ নোটিফিকেশন পাঠানো হয়েছে।

আগামীতে যেকোন মোবাইলে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে নোটিফিকেশন পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বন্যা ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৯৯ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মোট ১০০ জনের মোবাইল নম্বরসহ তালিকা চাওয়া হয়েছে। যাতে গ্রুপ করে পূর্বাভাসের বার্তা পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবগত করে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।