রাজশাহী: আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় রাজশাহীতে সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে সূর্যোদয়ের পর প্রথমে ছিল কুয়াশার আস্তরণ।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে রাজশাহীর আবহাওয়া এ রকম মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। আকাশে মেঘ রয়েছে। যে কোনো সময় আবারও বৃষ্টি ঝরতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে আবহাওয়া আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
শনিবার সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রেজওয়ানুল হক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে সূর্যোদয় হলেও ঘন কুয়াশা ও দিনভর মেঘাছন্ন আবহাওয়ার কারণে রাজশাহীতে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। দুপুর সোয়া ২টার পর এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। তবে তার পরিমাণ রেকর্ড করার মতো ছিল না। শনিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার ভোর ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ ও বিকেল ৩টায় ৮৭ শতাংশ। এখন পর্যন্ত রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ওঠানামা করছে। এরমধ্যে গত ২৬ নভেম্বর ১৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সারাদিন মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে একটু শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে দিনের তাপমাত্রা বেশি একটা নিচে নামেনি বলে উল্লেখ করেন এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।
এদিকে আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ঘণ্টায় ছয় কিলোমিটার বেগে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মধ্যরাতে এটি পুরী উপকূলে পৌঁছাবে। এরপর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে রোববার (৫ ডিসেম্বর) সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে।
ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপকূলে সোজাসুজি না ওঠে কূল ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগুবে ঘূর্ণিঝড়টি। বাংলাদেশে যখন ঢুকবে তখন দুর্বল হয়ে কেবল বৃষ্টি ঝরাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
এসএস/আরবি