খুলনা: খনার বচনে আছে, 'যদি বর্ষে পুষে (পৌষে), কড়ি আসে তুষে'। আরও আছে, 'যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ'।
খনার বচনে মাঘ মাসের বৃষ্টিকে প্রকৃতির জন্য খুব শুভ বলা হয়েছে। তবে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মাঘের দুপুরে তুমুল বৃষ্টি খুলনাবাসীর জীবনে ভোগান্তি নিয়ে এসেছে। মাঘের এ বৃষ্টিতে ছিল ভরা বর্ষার আমেজ। দিন-দুপুরে আঁধারে ছেয়ে ছিল পুরো পরিবেশ। কালবৈশেখীর মতো আঁধার নিয়ে বাতাস বৈইছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও মেঘে ঢাকা পুরো আকাশ।
পথে-ঘাটে থাকা মানুষ দৌঁড়ে কাছাকাছি দোকানসহ যে যেখানে পেরেছেন আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে নিরূপায় হয়ে ভিজেছেন মাঘের বৃষ্টিতে। বৃষ্টির তীব্রতা থাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন সড়কে পানিও জমে যায়। মুষলধারার বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতের তীব্রতাও কিছুটা বাড়তে থাকে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ভাসমান ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে অসময়ে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় দাকোপ ও বটিয়াঘাটার তরমুজ চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুক্র ও শনিবার দুই দিনে আরও বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই দুই দিন পর বৃষ্টির প্রভাব কমে আসবে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে খুলনায় বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এরপর কমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪ , ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড