লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের তিন উপজেলায় হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ফসলের ধান, গম, আলু, সবজি ও রবি শস্যের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক পরিবাররা।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হঠাৎ মাঝারি আকারের শিলাবৃষ্টি শুরু হয়।
জানা গেছে, ফাল্গুন মাসে আলু, সরিষা, গম ও তামাক উত্তোলনের মৌসুম শুরু হয় সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে। এ সময় আলু, গম, সরিষা, শিম, মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টা ও তামাকসহ নানা রবি শস্যে ভরে থাকে চাষাবাদের জমি। এখন এসব ফসল ঘরে তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। এমন সময় আজ বিকেলে হঠাৎ জেলার আকাশ কালো মেঘে ছেঁয়ে যায়। শুরু হয় মেঘের গর্জন। এরপর মাঝারি আকারের শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চলে কয়েক মিনিট। তবে, জেলার পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা উপজেলায় শিলাবৃষ্টি না হলেও কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি করেছে শিলাবৃষ্টি। আদিতমারী ও সদর উপজেলার আংশিক শিলাবৃষ্টির হয়। ফসল ঘরে তোলার এ মৌসুমে শিলাবৃষ্টিতে আলু, গম, সরিষা, মিষ্টি কুমড়রা, শিম, ভুট্টা ও তামাকের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলায়।
এ অঞ্চলে শিলাবৃষ্টির আকার ও স্থায়িত্ব ছিল তুলনামূলক দীর্ঘস্থায়ী। ফলে এ অঞ্চলের চাষিদের কষ্টে লাগানো উৎতি ফসল নষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তামাক শিলার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে আলু পচে যাওয়ার শঙ্কা করছেন চাষিরা। শীষ আসা সরিষা ও গম শিলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভুট্টার তেমন ক্ষতি না হলেও শীতের সবজিক্ষেত ক্ষতির মুখে পড়েছে। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শামীম আশরাফ বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষেত পরিদর্শন না করে ক্ষত-ক্ষতি নিরুপণ করা কষ্টকর। তবে, ফাল্গুন মাসে শিলাবৃষ্টিতে আলু, সরিষা, গম ও তামাকসহ মাঠে থাকা নানা জাতের সবজির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সবজি, সরিষা আর গম ক্ষেত। আলু ক্ষেতে পানি জমে গেলে তা দ্রুত নিষ্কাশনে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
এএটি