ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বুধবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে অশনি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
বুধবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে অশনি

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় অশনি বুধবার (১১ মে) সকালে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে। তবে এটি বাঁক খেয়ে ফের সাগরে নেমে এসে শক্তি হারাবে।

আর পুরোটা সময়জুড়ে দেশে ঝরাবে ভারী বর্ষণ।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অশনি অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাড়া ও বিশাখাপত্তনমে আঘাত হানতে পারে বুধবার (১১ মে) ভোরে। এরপর সকালেই এটি দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে সাগরে নেমে আসতে পারে। পরবর্তীতে অন্ধ্র উপকূল ঘেঁষে উত্তর-পূর্বদিকে বাঁক নিয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেবে বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে। ওই দিন রাতেই আরও শক্তিক্ষয় করে অশনি রূপ নেবে নিম্নচাপে। এরপর ধীরে ধীরে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলে সরাসরি আঘাত হানার কোনো শঙ্কা না থাকলেও প্রভাব থাকবে। দেশে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে আগামী শনিবার পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১২৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৪৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে
অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের অন্যন্য স্থানেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ঢাকায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৩ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। আর এই সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাড়াশে, ৫৭ মিলিমিটার।

সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, আগামী ১৩ মে থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।