ঢাকা: আসাম-মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়ছে হু হু করে। ইতোমধ্যে সিলেট-সুনমাগঞ্জের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ আভাস দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে দুই নদীর পানি পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার পানি সিলেটের কানাইঘাটে বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সিলেটে ৪২ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জে ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ১৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং শেওলার পানি ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো জানিয়েছে, বুধবার (১৮ মে) বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে পানির সমতল বেড়েছে ৮১টি পয়েন্টে, কমেছে ২৫টি পয়েন্টের পানির সমতল। অপরিবর্তিত আছে তিনটি পয়েন্টের পানির সমতল।
এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীর পানির সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয়, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও মিজোরামে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুরমা, কুশিয়ারা, ভোগাই, কংস, ধনু, বাউলাই, মনু, খোয়াই ও মহুরীর পানির সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ