ঢাকা: ঋতুর হিসেবে এখনো চলছে গ্রীষ্মকাল। আষাঢ় আসতে বাকি আরও ১৮ দিন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু যাকে বলা হয় বর্ষা; আগামী সপ্তাহে চলে আসবে টেকনাফ উপকূলে। আর জুনের শুরুতেই প্রবেশ করবে দেশের মধ্যভাগের দিকে। এই অবস্থায় বাড়ছে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে। ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে। শনিবার নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হবে। বর্ধিত পাঁচদিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূলে পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
বুধবার (২৫ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনায়, ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মাইজদীকোর্টে, ৭৮ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪ মিলিমিটার ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে দেশের নয়টি বেশি জেলার ওপর দিয়ে যে তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছিল, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ায় কেটে গেছে। অপরদিকে ১৯টি অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ঝড়ের আভাস।
রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
ইইউডি/এনএসআর