ঢাকা: দেশের ১৫টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেড়ে ঝড় বয়ে যেতে পারে। তাই সব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) রাতে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবাহওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন- টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রী সে. হ্রাস পেতে পারে।
ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি. মি। রোববার নাগাদ বৃষ্টিপাতের বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আগামী পাঁচ দিনের শেষার্ধে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্দ্বীপে, ২৬১ মিলিমিটার। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নেত্রকোণায়, ২২৬ মিলিমিটার। এছাড়া নিকলিতে ১২৭ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে, ১৪৫ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১১৪ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ১০৯ মিলিমিটার, সিলেটে ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ও রংপুরে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১ মিলিমিটার।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
ইইউডি/জেডএ