কিশোরগঞ্জ: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে কিশোরগঞ্জের হাওরের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে হাওরের নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওরে ধনু, ঘোড়াউত্রাসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীগুলোর পানি প্রায় ৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আগামী তিন দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এদিকে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ও আনন্দ বাজারে পানি প্রবেশ করেছে। পানিতে দোকান-পাট তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে জয়সিদ্ধি বাজার সংলগ্ন রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। পানি আরও বেড়ে গেলে কেনাকাটা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও পানিবন্দি মানুষ বিপাকে পড়েছেন। বানভাসিদের নিরাপদ আশ্রয় দরকার বলছেন তারা। দিন দিন যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উঁচু ভবনে থাকার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন বাংলানিউজকে জানান, জয়সিদ্ধি বাজারের প্রায় ২শটি দোকান রয়েছে। বাজারের পূর্ব ও পশ্চিম দিক তলিয়ে গেছে। বাজারে সামনের দিকে পানি সমান সমান অবস্থায় আছে। পানি আজকেও বাড়ছে। মনে হচ্ছে, সন্ধ্যায় বাজারের সামনের দিকে পানি প্রবেশ করবে।
শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
এএটি