বগুড়া: বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বেড়েছে।
রোববার (১৯ জুন) দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৗশলী মো. মাহবুবুর রহমান।
জানা যায়, গেল কয়েক দিনের বৃষ্টির সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন নিচু এলাকার বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দূরবর্তী চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, বোহাইল, কাজলা, চন্দনবাইশা, সারিয়াকান্দি সদর, হাটরশরপুর, কুতুবপুর ও কামালপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো এবং এসব এলাকার রোপা, মাশকলাই, মরিচ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধানসহ ফসলি জমি পানি প্রবেশ করেছে। অনেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বগুড়ায় মূলত আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকেই যমুনায় পানি বাড়া শুরু হয়। তবে এ বছর শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। রোববার দুপুর ১২টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৭ দশমিক ০০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। এ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, উজানে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে যমুনায় পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে। পানি বাড়লেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙনের কোনো আশঙ্কা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
কেইউএ/আরবি