কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে না কমতেই মাত্র ৫ দিনের মাথায় আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে ধরলা ও দুধকুমারের পানি। প্রথম দফা বন্যার পানি নামতে না নামতেই নতুন করে বন্যা শুরু হওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন মানুষ।
বুধবার (২৯ জুন) রাত ৯টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীতে ৬৪ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমার নদীতে ৪৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি।
ধরলা ও দুধকুমার অববাহিকার বন্যা কবলিত মানুষগুলো আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু বাঁধ বা নিরাপদ আশ্রয় স্থল থেকে পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত নিজ বাড়িতে কেউ ফিরতে শুরু করেছে বা ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এর মধ্যেই আবারো বন্যার কবলে পড়তে হচ্ছে তাদের। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। প্রথম দফা বন্যার দুর্ভোগ না কাটতেই ২য় দফা বন্যার কবলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদ-নদী অববাহিকার মানুষজন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদী অববাহিকার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাইম বড়াইবাড়ী এলাকার খয়বর আলীসহ (৫৫) আরও অনেকে বাংলানিউজকে জানান, ঘর-বাড়ি থাকি বন্যার পানি কেবল নামা শুরু করছে। তাতে ফির পানি বাড়তেছে। যেহারে পানি বাড়তেছে তাতে ফির পানিতে ভাসা নাইগবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে কুড়িগ্রামের ধরলা ও দুধকুমারের পানি সমতল বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে ধরলা দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে ২য় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
এফইএস/এএটি