ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

হাওরে ৪৫ গ্রামে নেই ঈদের আনন্দ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২২
হাওরে ৪৫ গ্রামে নেই ঈদের আনন্দ!

কিশোরগঞ্জ: উজানের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কিশোরগঞ্জের হাওরের কয়েকটি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। আর তাই হাওরের মিঠামইন ও ইটনা উপজেলার ৪৫ গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ।

 

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের সাবাসপুর, ওয়ারিশপুর, হাবিবপুর, নতুন হাটী, চমকপুর নতুনপাড়া, বেড়িবাঁধের হাটী, হোসেনপুর নতুনপাড়া, সুলতানপুর, আগলাহাটী, ঢাকী ইউনিয়নের নতুন চরপাড়া, কোলাহানী, সোনাপুর, কাটখাল ইউনিয়নের শান্তিপুর, রানীগঞ্জ, অলিপুর, আশুপুর, গোপদীঘি ইউনিয়নের এককোষা, হাসানপুর, নতুন হাসানপুর, মশুরিয়া, খিলাপাড়া, কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ, নাগরপুর নয়াহাটী, মুমিনপুর, সিদ্দিক নগর, ইটাখলা, হাফিজ নগর, অলেকপুর কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।  

এছাড়াও ইটনা উপজেলার লাইমপাশা, মৃগা, আনন্দ বাজার, ধনপুর, আমিরগঞ্জ, বদরপুর, দাসপাড়া, কালীপুর, সুন্দর নগরসহ আরও দুই/তিনটি গ্রামের মানুষ এখনও পানিবন্দী। বন্যার পানি কমলেও এসব গ্রাম হাওরে মাঝখানে নিচু জমিতে হওয়ায় পানিতে ডুবে রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের লোকজন জানান, গবাদিপশু রাখার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এছাড়াও গো-খাদ্য সংকটের কারণে কোরবানির জন্য রাখা গবাদিপশু পানির দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। বন্যার সুযোগে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে কম মূল্যে গরু মহিষ ছাগল, ভেড়া কিনে নিয়ে গেছেন গরু বেপারিরা।

একদিকে বন্যাদুর্গতরা বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বাড়ি-ঘর থেকে ধান, চালসহ অন্যান্য জিনিসপত্র আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিয়ে রেখেছেন। আর গবাদিপশু রাখার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় পানির দরে গবাদিপশু বিক্রি করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ঈদে পশু কোরবানি দেওয়ার পরিস্থিতি নেই। আর তাই এসব গ্রামে ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।