ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

নির্মল বায়ু আইন তৈরিতে ফিরে আসার আহ্বান এনএলপির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
নির্মল বায়ু আইন তৈরিতে ফিরে আসার আহ্বান এনএলপির ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশ এখন বায়ু দুষণে প্রায়ই শীর্ষস্থানে থাকে। বিশেষ করে ঢাকা নগরী এবং আরও কিছু শহরে বায়ু দুষণের মাত্রা ভয়ানক পর্যায়ে থাকে।

কিন্তু বায়ু দুষণ নিয়ন্ত্রেণে আলাদা কোনো আইন নেই। এ অবস্থায়, সরকারের পক্ষ থেকে পৃথক একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে ‘নির্মল বায়ু আইন’ এর খসড়াও তৈরি করা হয়েছিল।
 
খসড়া তৈরির পর তিন বছরেরও বেশি সময় পার হলেও ‘নির্মল বায়ু বিল-২০১৯’ আলোর মুখ না দেখায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন। সেই উদ্বেগের মধ্যে জানা গেছে এখন আর আইন হচ্ছে না। আইন না করে বিধিমালা করা হচ্ছে।
 
এ অবস্থায় পরিবেশবাদী সংগঠন ন্যাচার লাভিং পিপল (এনএলপি) সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে আইন তৈরির উদ্যোগে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ ‍জুলাই) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ও সচিব এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে সংগঠনটি। এনএলপির পক্ষ থেকে সভাপতি এহসানুল হক জসীম ডাকযোগে এই চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্মল বায়ু আইনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছিল, তা অবিলম্বে আইনে পরিণত করা হোক। সেই সঙ্গে বিধিমালা প্রণয়ন থেকে সরে আসারও অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
 
এতে আরও বলা হয়, দেশে বায়ু দুষণ যে মাত্রায় পৌঁছেছে, তাতে বিধিমালা দিয়ে কাজ হবে না। বায়ু ‍দুষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন তৈরি করে নানা উদ্যোগ নিতে হবে। আর যদি বিধিমালা করতেই হয়, সেটা নির্মল বায়ু আইন তৈরির পর করা যাবে। এই আইনের অধীনে বিধিমালা করা যেতে পারে। আগে স্বতন্ত্র আইন তৈরির জোর দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী এই সংগঠন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশের বেশি কোনো না কোনোভাবে বায়ু দুষণের শিকার হচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ দুষণ এলাকায় বাস করে। বায়ু দুষণে প্রতি বছর বাংলাদেশে মারা যায় ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।