ভোলা: চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ জোয়ারে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের অন্তত ২০টি গ্রাম। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
এদিকে বন্যা কবলিতরা জানান, ঘরের মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার আগেই ঘরে পানি ঢুকছে। ফলে গৃহস্থরা গবাদিপশু নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এর আগে, বুধবার (১৩ জুলাই) যা ছিল ৫৭ সেন্টিমিটার। পূর্ণিমার সৃষ্ট জোয়ারে প্রভাবে নদীন পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, জোয়ারের পানিতে ভোলা সদর, দৌলতখান, চরফ্যাশন ও মনপুরার ২০ গ্রাম ডুবে গেছে। বাঁধ না থাকায় এসব এলাকা প্লাবিত হয়।
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মাসুদ রানা জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারে রাজাপির ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। তারা চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল যা এ মৌসুমে সর্বোচ্চ। যদিও ভাটায় পানি নেমে গেছে। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। এমন অবস্থা আরও ৩-৪ দিন থাকতে পারে।
এদিকে নদীর তীরে বিকল্প বাঁধ নির্মাণের দাবি তুলেছেন রাজাপুরের বাসিন্দারা।
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২২
এএটি