চাঁদপুর: উজান থেকে বন্যার পানি নেমে আসা এবং জোয়ারের পানি বাড়ায় প্রচুর পরিমাণে দেশীয় জাতের চিংড়ি ধরা পড়ছে মেঘনা নদীতে। ছোট নৌকা করে দিনের বেলায় অধিকাংশ জেলেরা চিংড়ি আহরণ করছেন।
হরিণা ফেরিঘাট মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী বাচ্চু সৈয়াল বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চিংড়িসহ অন্যান্য প্রজাতির ছোট মাছ আমদানি হয়। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এখন একটু বেশি আমদানি। তবে দাম কমেনি। ছোট সাইজের প্রতিকেজি চিংড়ি ৫শ থেকে ৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আড়তগুলোতে ডাকে বিক্রি হয়। ফরিদগঞ্জ থেকে আসা চিংড়ি ক্রেতা শাহিদুল বলেন, এ বছর দেশীয় জাতের চিংড়ির আমদানি বেশি। বন্যার পানির সঙ্গে আরও বেশ কিছু জাতের চিংড়ি মেঘনা জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এসব চিংড়ি গত কয়েক বছর দেখা যায়নি। আড়তে তাজা চিংড়ি এবং দাম একটু কম পাওয়া যায় সেজন্য এসেছি। দামে ভালো পাওয়া গেলে কয়েক কেজি কেনার ইচ্ছা আছে।
হরিণা মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন আড়তে ইলিশ আসে ভোরে এবং দুপুরে। বাকি সময় স্থানীয় জেলেদের চিংড়িসহ অন্যান্য ছোট মাছ দিয়ে কেনাবেচা চলে। বিশেষ করে তাজা চিংড়ি কেনার জন্য চাঁদপুর শহর, ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ থেকে লোকজন সরাসরি আড়তে আসেন। তিনি আরও বলেন, মেঘনা নদীর পশ্চিমে চরাঞ্চলে চিংড়িসহ ছোট মাছের আমদানি অনেক বেশি। স্থানীয় জেলেরা একেকবার এক থেকে দুই কেজির বেশি চিংড়া আনেন না। শহরের খুচরা বিক্রেতারা এখান থেকে অল্প অল্প করে চিংড়ি কিনে ২০-৩০ কেজি হলে শহরে নিয়ে যায় বিক্রির জন্য। এখান থেকে ৫শ টাকায় ক্রয় করলে শহরে নিয়ে ৮শ থেকে ৯শ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি করেন।
চাঁদপুরের মৎস্যজীবী নেতা তছলিম বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে মেঘনা নদীতে চিংড়ি পাওয়া যায়। তবে সাইজে একটু ছোট। জেলেরা বেশির ভাগ চাঁই দিয়ে এসব চিংড়ি ধরেন। ভরা বর্ষায় মেঘনা নদীর পাশাপাশি ডাকাতিয়া নদীতে গলদা চিংড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২২
এএটি