মৌলভীবাজার: ‘অবৈধভাবে বনের গাছ কর্তন বন্ধ না হলে আন্তর্জাতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। আগে মানুষ কম ছিল, বন বেশি ছিল।
রোববার (২৪ জুলাই) জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০২২ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে বন অধিদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
২০৩০ সাল পর্যন্ত বনের কোনো বৃক্ষ না কাটার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। টিলা কাটা ও নদীভরাট বন্ধ করে অধিক হারে বৃক্ষরোপণের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এসময় বন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বনরক্ষকদের এই নির্দেশ নিশ্চিতে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান এবং নির্বাচিত স্টল মালিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বৃক্ষমেলায় প্রথম স্থান অধিকারী বরিশাল নার্সারির মালিক মো. ইব্রাহিম।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী “বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৯ ও ২০২০” এবং সামাজিক বনায়নের ৬ জন উপকারভোগীর মাঝে লভ্যাংশের ৩৭ লাখ টাকার চেক, নির্বাচিত স্টল মালিকদের এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লক্ষ্য অর্জনের অংশ হিসাবে বনের জবরদখল উচ্ছেদ, বৃক্ষহীন ও অবক্ষয়িত বনভূমি, প্রান্তিকভূমি এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০০৯-২০১০ হতে ২০২০-২১ আর্থিক সাল পর্যন্ত ম্যানগ্রোভসহ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭৮ হেক্টর বৃক্ষ, ২৬ হাজার ৪৫৩ সিডলিং কি.মি. স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং বিক্রয় বিতরণের ১০ কোটি ৫৯ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। একই সময়ে সামাজিক বনায়নে সম্পৃক্ত ১ লাখ ৪১ হাজার ২৩৮ জন উপকারভোগীর মাঝে লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়েছে। বিগত ৩ বছরে বন অধিদপ্তর কর্তৃক ৪ হাজার ৭২৯ হেক্টর বনভূমি জবরদখল মুক্ত করে বনায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
বিবিবি/এমএইচএম