বরগুনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে বরগুনার নিচু এলাকা।
নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। এ বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি। পৌর শহর ছাড়াও তলিয়ে গেছে আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচটকি ফেরির গ্যাংওয়ে। এতে গাড়ি নিয়ে পার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বেড়িবাঁধের বাইরের ও চরের স্থায়ী বাসিন্দাদের বাড়িঘর ফসলি জমি, পানের বরজ, মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে নাগরিক জীবনে দেখা দিয়েছে বিপত্তি।
জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া জেলার ১৫টির মতো খেয়া ঘাটের সংযোগ সড়ক ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। পাথরঘাটা উপজেলার ১০ গ্রাম এবং তালতলীর উপজেলার সোনাকাটাসহ অন্তত দশ গ্রামে লবনাক্ত পানি উঠে ফসলি জমি, পানের বরজ ও বীজ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশিলষ্টরা। এছাড়া আয়লা পতাকাটা, ঢলুয়া ইউনিয়নসহ মাঝের চরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টা পর্যন্ত বরগুনায় মোট ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে সাগর উত্তাল থাকায় জেলার মাছধরার ট্রলারগুলো ফিরে এসে উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে, কিংবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
পাউবোর পাথরঘাটা উপজেলার পানি পরিমাপক খাইরুল ইসলাম ও সদর উপজেলার মাহাতাব হোসেন জানিয়েছেন, গত তিনদিন ধরে নদীগুলোতে জোয়ারের পানি ক্রমাগত বাড়ছে। মঙ্গলবার খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। যা গত দুই দিন আগে ছিল ৪০ সেন্টিমিটার।
এ বিষয়ে জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) রেডিও অপারেটর গোলাম মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষলঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এমএমজেড