ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

২৫ হাজার টেনেন্সির মাইলফলক অর্জন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
২৫ হাজার টেনেন্সির মাইলফলক অর্জন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ

ঢাকা: দেশের শীর্ষস্থানীয় সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ দেশব্যাপী ১৭ হাজার টাওয়ারের বিস্তৃত নেটওয়ার্কে ২৫ হাজার ‘টেনেন্সি’র এক অভাবনীয় মাইলফলক অর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

এ অর্জন বাংলাদেশের চলমান ডিজিটাল রূপান্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে একটি শক্তিশালী ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক অবকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে কোম্পানির দৃঢ় সংকল্পেরই প্রমাণ।

সম্প্রতি সাভারের বিএকএসপিতে ইডটকো বাংলাদেশ এর নতুন এই গৌরবোজ্জ্বল অর্জন স্মরণীয় করে রাখতে একটি উৎসবমুখর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির বিস্তৃতি ও তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক নিয়ে আলোচনায় ইন্ডাস্ট্রির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব, পার্টনার, স্টেকহোল্ডার এবং ইডটকো বাংলাদেশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে এবং নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সংযোগ নিশ্চিতে ইডটকো দেশব্যাপী উন্নত, উদ্ভাবনী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলায় বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের (এমএনও) সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে অর্জিত এই মাইলফলক শেয়ারযোগ্য অবকাঠামো বিনির্মাণে ইডটকোর ভূমিকা, অপ্রয়োজনীয় একাধিক টাওয়ার স্থাপন কমিয়ে আনা, এমএনওদের ব্যয় কমিয়ে আনা এবং দক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্ভিস দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে। শেয়ারযোগ্য অবকাঠামোর পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ইডটকো একটি টেকসই টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেম নির্মাণ করতে চায়, যা একইসঙ্গে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব।

ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক বলেন, দেশব্যাপী সংযোগের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখায় ২৫ হাজার টেনেসির এই মাইলফলক অর্জন শুধু ইডটকো বাংলাদেশ নয়, দেশীয় টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির জন্যও অত্যন্ত গর্বের বিষয়। দেশব্যাপী অবকাঠামোগত সাইটগুলো দ্রুত স্থাপন করে দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের মাধ্যমে সংযোগহীন জনগোষ্ঠীকে সংযুক্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, শেয়ারযোগ্য অবকাঠামোর মাধ্যমে আমরা টাওয়ার ডুপ্লিকেশন কমিয়ে আনা, এমএনওদের এর গিগাবাইট প্রতি মূল্যহ্রাস এবং দক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষেবা নিশ্চিত করতে পারি। এছাড়াও এ উদ্যোগের ফলে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা যায়, যাতে নতুন টাওয়ার নির্মাণের বদলে বিদ্যমান টাওয়ারগুলোরই সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হয়।

মালয়েশিয়া-ভিত্তিক ইডটকো গ্রুপ, বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ টেলিকম টাওয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি, যেটি টেকসই অবকাঠামো বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানিটির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

কোম্পানিটি বাঁশের তৈরি টাওয়ার, ‘হাইব্রিড সোলার-উইন্ড টাওয়ার’, ‘স্প্যান প্রিস্ট্রেসড কংক্রিট টাওয়ার’ এবং ‘স্মার্ট পোল স্ট্রিট ফার্নিচার’ এর মতো উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব সল্যুশনগুলোর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।