ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

ঈদ উপলক্ষে গরিব-দুস্থদের এম এ রাজ্জাক খান রাজের সহায়তা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
ঈদ উপলক্ষে গরিব-দুস্থদের এম এ রাজ্জাক খান রাজের সহায়তা

ঢাকা: ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের আমন্ত্রণে নিজ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের গণমানুষের নেতা, বিশিষ্ট শিল্পপতি, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট (২০২১-২৩), কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ।  

এদিন তিনি চুয়াডাঙ্গার আরেক কৃতি সন্তান বিচারপতি এম হাফিজুল ইসলামের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

খুলনা বিভাগের এ দুই কৃতি সন্তানকে কাছে পেয়ে তিনি ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিসহ কিছু সময়ের জন্য আড্ডায় মেতে ওঠেন। আড্ডার মাঝে নিজ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন ও পরিকল্পনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় বলে জানা যায়।

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করেন জনহিতৈষী এ নেতা।  

গত সোমবার চুয়াডাঙ্গার পলাশপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে খান ঈদগাহে মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় প্রাক্কালে মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময়, মসজিদ-মাদরাসা-সমাজ উন্নয়ন ও বৃক্ষ রোপণ বিষয়ে আলোচনা করেন। নামাজ আদায় শেষে বরাবরের মতো দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে নগদ অর্থ, খাবার ও কোরবানির গোশত বিতরণসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরে বিকেল তিনি চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা থেকে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার নিজ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।  

এ সময় এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, মহান দিনে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশে কোরবানি দেওয়া হয়, যা আমাদের মধ্যে ত্যাগ ও সহমর্মিতার চেতনাকে জাগ্রত করে। ঈদুল আজহা আমাদের শিক্ষা দেয় পরস্পরের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধন দৃঢ় করার এবং সমাজের সব স্তরের মানুষকে সহানুভূতির সঙ্গে মূল্যায়ন করার।

চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি জেলার উন্নয়ন তার মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো এবং কর্মসংস্থান খাতে উন্নয়ন ঘটানো আমাদের সবার দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে আমাদের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকায়ন করা, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করাসহ সড়ক, বিদ্যুৎ ও নিরাপদ পানি সরবরাহসহ অন্যান্য মৌলিক সুবিধাগুলো চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য নিশ্চিতকরণে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ঈদের পরের দিন চুয়াডাঙ্গা গার্লস স্কুলে ‘পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব চুয়াডাঙ্গার’ উদ্যোগে আয়োজিত ‘নবীন বরণ ও পুনর্মিলনী ২০২৪‘ এবং চুয়াডাঙ্গার  দামুড়হুদা উপজেলার ১৯৯২ সালের এসএসসি ব্যাচমেটদের  ‘প্রথম ঈদ পুনর্মিলনী  অনুষ্ঠান ও কৃতি শিক্ষার্থী  সংবর্ধনা-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  

এ সময় তিনি সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করেন।

পরে চুয়াডাঙ্গার আসমানখালী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পাটখাঠি ব্যবসায়ী ও পানচাষি ভাইদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন এবং যেকোনো সঙ্কটে সব সময় চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাবাসীর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।