ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

ড. হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার জীবনকাহিনি নিয়ে গ্রন্থ ‌‘বাতিঘর’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
ড. হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার জীবনকাহিনি নিয়ে গ্রন্থ ‌‘বাতিঘর’

ঢাকা: শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মানবকল্যাণের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার জীবন ও কর্মের নানা দিক নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘বাতিঘর’ নামে জীবনীগ্রন্থ।  

হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগ থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন বিভাগের পরিচালক আমিরুল মোমেনীন মানিক।

আর্ট পেপারে মুদ্রিত ১০০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটির মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। নতুন উদ্যোক্তারা বিশেষ করে তরুণরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে গ্রন্থটির মাধ্যমে বিপুল অনুপ্রেরণা পেতে পারেন। গ্রন্থটিতে মোট সাতটি প্রবন্ধ আছে।  

প্রবন্ধগুলো হলো- স্বপ্নের ইতিহাস, মানুষের জন্য নিবেদিত মহৎপ্রাণ, হাকীম সাঈদের প্রেরণায় যেভাবে হামদর্দের হাল ধরেন ড. হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া, ৫২ বছরে হামদর্দের অর্জন, ইউনানী-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা ও ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া, স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও বিন্দু থেকে সিন্ধু তৈরির গল্প যে জীবন আলোর পথের নিরন্তর প্রেরণা।

পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশে হামদর্দকে প্রতিষ্ঠা করার বর্ণাঢ্য কর্মতৎপরতার ফটো অ্যালবাম গ্রন্থটি। যে কেউ রাজধানীর বাংলামোটরে হামদর্দের প্রধান কার্যালয়ের (রূপায়ণ ট্রেড সেন্টার, লেবেল ১২), তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া শুধুই একজন শিল্পোদ্যোক্তা নন, তিনি এক মহান স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি স্বাস্থ্যসেবাকে মানবতার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হিসেবে দেখছেন। তার হাত ধরে হামদর্দ নতুন যুগে প্রবেশ করে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুনভাবে গড়ে ওঠে ইউনানি ও হারবাল তথা প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। তার সৃজনশীলতা ও মানবসেবার ব্রত শুধু বাংলাদেশেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে বহির্বিশ্বেও।

‘বাতিঘর’ গ্রন্থে উঠে এসেছে তার সংগ্রাম, শিক্ষা, কর্মপ্রেরণা, শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে উত্থান, হামদর্দের নবযাত্রা এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে তার ঐতিহাসিক অবদান। পাশাপাশি উঠে এসেছে এক নিঃস্বার্থ মানবদরদীর গল্প, যিনি সারাজীবন সমাজের প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। আর চিকিৎসাসেবার পরিধি বাড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিত করেছেন মানুষের সুস্বাস্থ্য।

এ গ্রন্থ কেবল একজন ব্যক্তির সাফল্যের কাহিনি নয় বরং এটি আদর্শ, দর্শন, যা আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাবে। ‘বাতিঘর’ নামটিই প্রতীকী- যেমন সমুদ্রের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বাতিঘর পথহারা নাবিককে পথ দেখায়, তেমনই ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এক আলোকবর্তিকা, যিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্পের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দীক্ষা দিয়ে চলেছেন এখনও অবিরাম।  

গ্রন্থটি পাঠকদের জন্য এক অনন্য প্রেরণার উৎস। এটি কেবল হামদর্দ পরিবারের নয় বরং সমাজের সব শিক্ষার্থী, গবেষক, চিকিৎসক, উদ্যোক্তা ও মানবসেবকদের জন্য এক অমূল্য সংযোজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৫
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।