ঢাকা, রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২, ২২ জুন ২০২৫, ২৫ জিলহজ ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৮, জুন ২২, ২০২৫
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

ঢাকা: দেশ-বিদেশের প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের অংশগ্রহণে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫’।  

ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রোবো টেক ভ্যালির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ দুই দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার তুলে ধরা হয়েছে।

এ প্রতিযোগিতায় দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকেও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। মোট ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা ১৫০টি দল এতে অংশ নেয়।  

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল। প্রতিযোগিতায় মোট ১২টি ক্যাটাগরি রাখা হয়, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রোবো সকার, লাইন ফলোয়িং রোবট, রোব ওয়ারস, প্রকল্প প্রদর্শনী, আইডিয়া কম্পেটিশন, সুমো রেস, কুইজ প্রতিযোগিতা, ড্রোন রেসিং, প্রোজেক্ট শোকেজ এবং ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্র্যামিং কনটেস্ট। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ছয় লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা ৪০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এ ছাড়া এবারের আয়োজনে নতুন সংযোজন হিসেবে ছিল ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্র্যামিং কনটেস্ট, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি, রোবট ইন মুভি, হ্যাকাথন ও রোবটিক্স কুইজ।  

উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা তার বক্তব্যে বলেন, ‘তরুণদের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাদের প্রতিভাকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা গর্বিত যে, বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। ’

শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে উৎসহ প্রদান করে ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী বলেন, ‘পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫ তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা, সৃজনশীল চিন্তাধারা এবং বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। ’

উত্তরা ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার, ডিনরা, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাগণ। অলিম্পিয়াড বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. মির্জা গোলাম রব্বানী ও সিএসই বিভাগের এসিসটেন্ট প্রফেসর মো. ওয়াহিদুর রহমান।  

এ ছাড়া ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্র্যামিং কনটেস্ট ও প্রতিযোগিতায় সফল করতে বিশেষভাবে অবদান রাখেন স্কুল অব সিভিল, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও ডিন. মো. সুলতানুল ইসলাম, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড স্যোসেল সায়েন্সের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. শাহ আহমেদ, অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. মো. শাখাওয়াত জামান সরকার, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ও অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমানুল ইসলাম ও আইটি ডিরেক্টর মো. এহসানুল হক।  

অলিম্পিয়াডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্বাণী গ্রুপের চেয়ারম্যান, ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কলামিস্ট ও লেখক মোহাম্মদ কায়কোবাদ ও পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যড. মো. শহিদুল ইসলাম। আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চাপ্টারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো. ওবায়েদুর রহমান ও প্রফেসর ড. কে এম আজহারুল হাসান।

অনুষ্ঠান আয়োজনে রোবো টেকভ্যালির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ এস এম আহসানুল সরকার আকিব ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. মো. আহসান হাবিব।  

প্রতিযোগিতার আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে এই অলিম্পিয়াডের পরিধি আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে দক্ষিণ এশিয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নেতৃত্বদানকারী একটি দেশ।  

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।