ঢাকা, সোমবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

দৈনিক ২৫০০ মানুষ ইফতার করেন কেরালা মুসলিম সেন্টারে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
দৈনিক ২৫০০ মানুষ ইফতার করেন কেরালা মুসলিম সেন্টারে দৈনিক আড়াই হাজার মানুষের ইফতার কেরালা মুসলিম সেন্টারে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী চলছে মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। এ রমজানে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা করে থাকে দুবাইয়ে অবস্থিত কেরালা মুসলিম কালচারাল সেন্টার (কেএমসিসি)। যে কেউই অংশ নিতে পারে এ ইফতার আয়োজনে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুবাইয়ের কেরালা মুসলিম কালচারাল সেন্টারে প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার আড়াই হাজার মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়। পুরো রমজান ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবক মিলে এ ইফতার ব্যবস্থার কাজ পরিচালনা করে থাকেন।

যাতে করে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে সবাই ইফতার করতে পারেন। স্বেচ্ছাসেবকরা সাতটি আলাদাভাগে ভাগ হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

কেরালা মুসলিম কালচারাল সেন্টারের (কেএমসিসি) প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম এলেতিল বলেন, আমাদের এখানে যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন, পেশায় তারা কেউ চালক, কেউ অফিস সহকারী। একেক জন একেক পেশা থেকে এসেছেন। এছাড়া এ কাজে ব্যবসায়ী ও বড় কমকর্তারাও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সহায়তা করে থাকেন।  

তিনি বলেন, ২০১২ সালে আমরা এ উদ্যোগ শুরু করি। সে সময় আমাদের এখানে গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজার মানুষ ইফতার করতে আসতেন। প্রতি বছর একটু করে বাড়তে বাড়তে এখন প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার ৫৫০ জন ইফতার করতে আসেন। আমাদের এ সাফল্যের মূলে রয়েছেন আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের প্রয়াসেই প্রতিদিন সুষ্ঠুভাবে ইফতার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

কেএমসিসির স্বেচ্ছাসেবক উইংয়ের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ইরিতি বলেন, অনেক প্রতিবন্ধী মানুষও আমাদের এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া এখানে যারা এ কাজ করেন, তারাও রোজা রেখেই এটি করেন।

তিনি বলেন, মূলত রমজানের এক মাস আগে থেকেই স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়। এক্ষেত্রে আগে যারা কাজ করেছেন তারা যেমনি রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তেমনি নতুনরাও ইচ্ছে করলে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তাদের রোস্টার বেসিসে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইফতার কার্যক্রম পরিচালনায় ২১০ স্বেচ্ছাসেকের মধ্যে প্রতিদিন অন্তত ১৫০ জন কাজ করে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে ইফতারের কয়েক ঘণ্টা আগেই তারা কেএমসিসিতে চলে আসেন।

আল-মুরাক্কাবাদ পুলিশ স্টেশনের সহকারী পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খলিফা আলী রাশিদ বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় আড়াই হাজার মানুষের ইফতার কার্যক্রম পরিচালনা করে কেএমসিসি স্বেচ্ছাসেবকরা বিস্ময়কর কাজ করে যাচ্ছেন।

কেরালা মুসলিম কালচারাল সেন্টার (কেএমসিসি) মূলত মুসলিমদের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ভারতের কেরালা থেকে এটির কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংস্থাটির শাখা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।