ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

‘পিপল অ্যাওয়ার্ড’ পেল গ্রামীণফোন

কর্পোরেট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
‘পিপল অ্যাওয়ার্ড’ পেল গ্রামীণফোন

অসলোর ফরনেবুতে অবস্থিত টেলিনর গ্রুপের গ্লোবাল হেড কোয়ার্টারে টেলিনর গ্লোবাল ফোরামের সর্বশেষ ‘টেলিনর গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ডস’-এ ‘পিপল অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই সম্মাননা গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের সিইও ইয়াসির আজমান।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।

পিপল অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় মূলত তিন ধাপ যাচাই করে। প্রথমত, লার্নিং কালচার ও আপস্কিলিং; দ্বিতীয়ত, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ এবং এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট ও প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণ। এই তিন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসা ইউনিটের বিভিন্ন উদ্যোগের গুণগত মান ও সংখ্যা যাচাই করে টেলিনর গ্রামীণফোনকে সম্মানজনক এই পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে।  

গত বছর আপস্কিলিং ও ভবিষ্যৎ উপযোগী সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল গ্রামীণফোন। লার্নিং ও এজাইল সংস্কৃতি উৎসাহিত করার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়ে একটি কর্মতৎপর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে গ্রামীণফোন। এ সময় দুইশো’র বেশি বিশেষজ্ঞ কর্মীকে বিভিন্ন বিষয়ে আপস্কিল করে প্রতিষ্ঠানটি।

নতুন স্কিল শেখার ক্ষেত্রে কর্মীপ্রতি গড়ে ৪০ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জের বিপরীতে গড়ে ৬১.৮ ঘণ্টা ব্যয় করে টেক সার্ভিস লিডার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় লার্নিং প্ল্যাটফর্ম থেকে নানাবিধ কোর্স শেখা ও দক্ষতা অর্জনের ব্যবস্থা করে। সুরক্ষা ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গ্রামীণফোন কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সক্ষমতার সূচকে আগের বছরের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন ভ্যালু চেইনের সব কর্মীকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উদাহরণ হিসেবে কাজ করেছে।

অনুষ্ঠানে টেলিনর গ্রুপের ইভিপি এবং চিফ পিপল অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি অফিসার সিসিলি হিউক বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন এবং পরিশ্রমী ও উদ্যমী কর্মীদের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে গ্রামীণফোনকে অভিনন্দন জানান।

গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হুসাইন বলেন, ‘কোভিডের কারণে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণ এবং সেবার মাধ্যমে তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের ক্ষেত্রে গত বছরটি গ্রামীণফোনের সবার জন্য উল্লেখযোগ্য ছিল। আমাদের বিশ্বাস, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে গ্রাহকদের সবচেয়ে উন্নত সেবা দেওয়ার উপায় হচ্ছে সুরক্ষা এবং নিরাপদ কর্ম পরিবেশকে প্রাধান্য দেওয়া। এবং এর মাধ্যমে সঠিক কর্মী, দক্ষতা, সক্ষমতা, সংস্কৃতি ও নেতৃত্ব সমৃদ্ধ ভবিষ্যত উপযোগী একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া। ’

তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের ছাড়িয়ে যাবার পথে আমাদের নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে টেলিনর। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমাদের সব লিডার ও কর্মী, আমরা সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে এ স্বীকৃতি অর্জন করেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।