ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

ওয়াশিং মেশিন: এক সময়ের বিলাসবহুল পণ্যটিই এখন প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
ওয়াশিং মেশিন: এক সময়ের বিলাসবহুল পণ্যটিই এখন প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স ওয়াশিং মেশিন

ওয়াশিং মেশিন কেনার বিষয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে ‘এ পণ্যটি আমি কেন কিনবো?’। ওয়াশিং মেশিন নিয়ে মানুষের মাঝে বেশ কিছু প্রচলিত ধারণা থেকেই এ প্রশ্নটি সাধারণত সামনে আসে।

এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো, ওয়াশিং মেশিন দিয়ে মানুষ খুব সহজে ও স্বল্প পরিশ্রমে কাপড় পরিষ্কার করা ও পানি শুকানো যায়।

বৈশ্বিক মহামারি শুরুর পর থেকে প্রতিটি বাসা-বাড়িতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রযুক্তি পণ্যগুলোর মধ্যে ওয়াশিং মেশিন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সময়ে ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে অনেকেই খুব সহজেই কাপড় পরিষ্কার করতে পারেন। তবে, ওয়াশিং মেশিন কেনা নিয়ে অনেকের মাঝে এখনো প্রচলিত ধারণা বিরাজমান রয়েছে। চলুন দেখে নেয়া যাক,  একবিংশ শতাব্দীতে ওয়াশিং মেশিন কেন প্রয়োজনীয়:          

ধরন অনুযায়ী কাপড় পরিষ্কারের সুবিধা
 
তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় ফিচার সহযোগে ওয়াশিং মেশিনগুলোতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন নিয়ে আসছে ওয়াশিং মেশিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সব ধরনের কাপড় পরিষ্কারের জন্য ওয়াশিং মেশিনের মডেলগুলো বিভিন্ন সরঞ্জামে সজ্জিত। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে যা করতে হবে তা হলো রঙ এবং কাপড়ের ধরনের ওপর ভিত্তি করে কাপড়ের স্তুপ তৈরি করে সে অনুযায়ী ধুয়ে ফেলা। এছাড়াও, ওয়াশিং মেশিনগুলোর প্রযুক্তিতে বেশ অগ্রগতি হয়েছে এবং অনেক ফিচার ও সেটিং সুবিধাও বর্তমান ওয়াশিং মেশিনের সাথে যুক্ত হয়েছে। ম্যানুয়াল দেখে ব্যবহারকারীরা ধরন অনুযায়ী কাপড় পরিষ্কারের বিষয়টি খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী ‘অপশন’ নির্বাচন করতে পারবেন।  

কাপড়কে রাখে সুরক্ষিত 

অনেক ব্যবহারকারী তাদের কাপড়ের ক্ষতির জন্য ওয়াশিং মেশিনকে দায়ী করে থাকেন। কিন্তু, দশবারের মধ্যে নয়বারই এটি ওয়াশিং মেশিনের জন্য মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। বহু বছরের পুরনো মডেলের ওয়াশিং মেশিনগুলোও কাপড়ের কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন না করে কার্যকরভাবে কাপড়কে পরিষ্কার করতে সক্ষম। বিশেষ করে, সহজে নষ্ট হয়ে যায় এমন ধরনের কাপড় পরিষ্কারের জন্য বর্তমান সময়ের ওয়াশিং মেশিনগুলোতে উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তিগত ডিজাইন নিয়ে এসেছে। এ সেটিংগুলো ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই কাপড়কে যত্ন সহকারে পরিষ্কারের মাধ্যমে কাপড়কে সুরক্ষিত রাখে।  

পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী 

প্রতিটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী চালু অবস্থায় অনেক বিদ্যুৎ খরচ করে। যে কোনো হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রীর দক্ষতা নির্ভর করে এর ব্যবহারবিধির ওপর। বর্তমান সময়ের ওয়াশিং মেশিনগুলোতে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ফিচার ব্যবহার করা হয়; যা পানি ও বিদ্যুত সাশ্রয়ে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের উল্লেখযোগ্যহারে ইউটিলিটি বিল সাশ্রয়সহ পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করে।      

কাপড় ধোয়ার সেরা বিকল্প ওয়াশিং মেশিন

ওয়াশিং মেশিন ছাড়া কাপড় ধোয়ার বিষয়টি অনেক সময় এবং শ্রমসাধ্য। তবে, বর্তমান যুগে ব্যস্ততার কারণে অধিকাংশ মানুষের কাপড় ধোয়ার জন্য সময় বের করার বিষয়টি বেশ দুরূহ। তাই, ব্যস্ত সময়ে কাপড় ধোয়ার জন্য সেরা বিকল্প হিসেবে ওয়াশিং মেশিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, অনেক ওয়াশিং মেশিনে প্রিওয়াশিং ফিচার রয়েছে, যা সঠিকভাবে কাপড় পরিষ্কারের আগে কাপড়কে ভিজিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।    

ডিটারজেন্টের অধিক ব্যবহার

ওয়াশিং মেশিন নিয়ে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, বেশি ডিটারজেন্ট ব্যবহারে কাপড় হবে বেশি পরিষ্কার। ওয়াশিং মেশিনে এমন প্রযুক্তি রয়েছে, যা অল্প পরিমাণে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে কাপড়কে পরিষ্কার করবে। এ ঘূর্ণন প্রক্রিয়া বিপুল পরিমাণ ফোম নিঃসরণ করে; ফলে, সঠিকভাবে কাপড় পরিষ্কারের জন্য অনেক পরিমাণ ডিটারজেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না।    

বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের ব্যবহারকারীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের অনেক হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ওয়াশিং মেশিন বাজারে নিয়ে আসছে। ব্যবহারকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে, কাপড় পরিষ্কারের বিষয়টিকে আরো সহজ করতে স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের ওয়াশিং মেশিন বাজারে নিয়ে এসেছে। ৭ কেজি, ৭.৫ কেজি, ৯ কেজি ও ১০ কেজি সক্ষমতার স্যামসাংয়ের টপ লোডিং ওয়াশিং মেশিনগুলোতে অল-ইন-ওয়ান সল্যুশন রয়েছে, যার বাজার মূল্য শুরু হয়েছে ২৩,৯০০ টাকা। হাত দিয়ে ও প্রি-ওয়াশিং কাপড় পরিষ্কারের জন্য এর নিউ অ্যাকটিভওয়াশ + ফিচারই চূড়ান্ত সল্যুশন। ভালোভাবে কাপড় পরিষ্কারের জন্য ‘এক্সট্রা ওয়েভ’ সহ ডেডিকেটেড সিঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছে। এর বিল্ট-ইন ওয়াটার জেট সিঙ্কের ভেতরে ইজি-টু-রিচ বাটন ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করে।   

এর পাশাপাশি, এ ওয়াশিং মেশিনগুলো বেশ দীর্ঘস্থায়ী; এবং এটি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম শক্তি খরচ করে এবং শব্দহীনভাবে চলে। কাপড়কে পুরোপুরি পরিষ্কার করতে ডিভাইসটিতে স্টেইনলেস স্টিল পালসেটর রয়েছে; যেখানে ছয়টি ব্লেড রয়েছে, যা বিস্তৃত ও শক্তিশালী পানির প্রবাহ নিশ্চিত করে। এটি কার্যকরভাবে ময়লা ও সাবান পানিকে দূর করে কাপড়কে ধুয়ে ফেলতে পারে। স্যামসাংয়ের নির্দিষ্ট মডেলের ওয়াশিং মেশিনগুলো ইনটেনস ওয়াশ ফাংশন দিয়ে কার্যকরভাবে কাপড়কে পরিষ্কার করে, ইকো টাব ক্লিন ফিচার টবকে পরিষ্কার রাখে এবং ম্যাজিক ফিল্টারের সাহায্যে ড্রেনেজ সিস্টেমকে ঠিক রাখে।

 বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
ইআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।