ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

আইইউবিতে দুটি মাল্টিল্যাংগুয়েজ সেন্টার উদ্বোধন

শিক্ষা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
আইইউবিতে দুটি মাল্টিল্যাংগুয়েজ সেন্টার উদ্বোধন

ঢাকা: ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)- তে ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ এবং ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাংগুয়েজেস’ নামে দুটি মাল্টিল্যাংগুয়েজ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত আইইউবি ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্র দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এ সময় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য দিদার এ হুসেইন।

দুটি ভাষা কেন্দ্রই আইইউবির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে। এখানে মাতৃভাষা বাংলা এবং ইংরেজির পাশাপাশি জাপানিজ, কোরিয়ান, ফ্রেঞ্চ, ম্যান্ডারিন, জার্মান, আরবিসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের লুপ্তপ্রায় ভাষাগুলো সংরক্ষণে কাজ করবে সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স সৃষ্টি হয়েছে দেশীয় ভাষা এবং বিদেশি ভাষা সমৃদ্ধ করার জন্য। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা এ ভাষাকে কেন্দ্র করেই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। বাংলাদেশ বহু ভাষাভাষীর দেশ। দেশে ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে। তাদের ভাষাকে সংরক্ষণ করার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সেখানে কাজ করে। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন নিজের ভাষা জানাটা জরুরি, তেমনি তাদের জন্য বিদেশি ভাষা শেখাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আজকের এ প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে একজন দক্ষ ও যোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে হলে ভাষাজ্ঞান খুবই জরুরি। এশিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশেই শিক্ষা এবং যোগাযোগের মূল মাধ্যম হলো সেসব দেশের মাতৃভাষা। সুতরাং, বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ভাষা শিখলে আসলে আমাদের শিক্ষার্থীরাই লাভবান হবে।

আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য দিদার এ হুসেইন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের হয়তো অনেক কিছু নেই। আবার অনেক কিছু আছে। ভালো হোক মন্দ হোক, এটা আমার দেশ। আমার দেশের জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটা দেবো। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি এ বিষয়টা মাথায় রাখে তাহলে আইইউবি এগিয়ে যাবে, দেশও এগিয়ে যাবে।

আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান বলেন, আজকের এ বিশ্বায়নের যুগে, উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়, তাহলে এ চ্যালেঞ্জটা আইইউবির শিক্ষার্থীদের নিতেই হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম। ভাষা হলো যোগাযোগের মাধ্যম। একজন মানুষ যত বেশি ভাষা জানবে, নিজের জন্য তত বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারবে। আজকের এ দ্রুতগতির ডিজিটাল যোগাযোগ এবং রূপান্তরের যুগে, মাতৃভাষার পাশাপাশি একাধিক ভাষা জানা থাকলে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে থাকা যায়।

সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স-এর নামকরণ করা হয়েছে আইইউবির ট্রাস্টি দিদার এ হোসেইনের প্রয়াত কন্যা সাশিন দিদার হোসেইন- এর নামানুসারে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য তৌহিদ সামাদ, এ মতিন চৌধুরী এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
এসআইএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।