ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আদালত

হাইকোর্টে ব্লগার রাজীব হত্যার ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৬
হাইকোর্টে ব্লগার রাজীব হত্যার ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু

ঢাকা: বিচারিক আদালতে রায় হওয়ার ১০ মাসের মাথায় এসে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যামামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।

 

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার (০৭ নভেম্বর) এ মামলার শুনানি শুরু হয়।

পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।
 
তিনি জানান, আজ (সোমবার) আদালতে এ মামলার পেপারবুক পড়া শুরু হয়েছে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বিলকিস ফাতেমা বলেন, ‘আমরা পেপারবুক পড়া শুরু করেছি। এটি অব্যাহত থাকবে। কালও (মঙ্গলবার) চলবে’।
 
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিতকরণ (ডেথ রেফারেন্স) এবং আসামিদের আপিল শুনানির জন্য মামলাটি  হাইকোর্ট বেঞ্চটির কার্যতালিকায় ওঠে ।

বিচারিক আদালতের রায়ে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরের জন্য উচ্চ আদালতের অনুমোদন লাগে। আর এ অনুমোদনই ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।
 
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠাশাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে রাজধানীর পল্লবীতে তার বাসার সামনে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিনের করা মামলায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা (পলাতক) ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে মাকসুর হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
 
এছাড়া আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানিকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে ৩ বছরের  সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
 
এ রায়ের পর মামলার নথিপত্র গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে আসে। পরে প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পর পেপারবুক ছাপানোর জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হয়। মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, জব্দ তালিকা, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও বিচারিক আদালতের রায়ের  সমন্বয়ই হচ্ছে পেপারবুক।

৯২০ পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুতের পর চলতিবছরের মাঝামাঝিতে ছাপাখানা থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।