ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আদালত

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রক্ষা ইসি’র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রক্ষা ইসি’র

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও একজন সিনিয়র সহকারী সচিব।

ঢাকা: নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও একজন সিনিয়র সহকারী সচিব।

রোববার (০৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের আবেদন নিষ্পত্তি করে অব্যাহতি দেন।

আদালতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. মুহাম্মদ ইয়াসীন খান।
 
তিনি বলেন, আইন-আদালতের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা রেখেই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন ইসি। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে তাদেরকে ‍অব্যাহতি দিয়েছেন।
 
উচ্চ আদালতের এক আদেশ প্রতিপালন না করায় গত ০৭ আগস্ট ইসি’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
 
আইনজীবী সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ চাঁদপুরের হাইমচরের চরভৈরবি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম পুনরায় ভোট চেয়ে ৭ এপ্রিল ইসিতে আবেদন করেন। অভিযোগে ২, ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডে অনিয়মের কথা বলা হয়। এ আবেদনের জবাবে ২৩ এপ্রিল ইসি’র পক্ষ থেকে এক চিঠিতে জাহিদুলকে জানানো হয়, গেজেট হওয়ার পর ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে। কিন্তু জাহিদুল পুনরায় আরো কিছু কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২২ মে ইসিতে ফের আবেদন করেন।
 
এ আবেদনের জবাব না পেয়ে জাহিদুল তার আবেদনের নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ১৫ জুন রিট করেন।
 
পরদিন হাইকোর্ট রুল জারি করে ৩০ দিনের মধ্যে জাহিদুলের আবেদনের নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।

এর কিছুদিন পরে জাহিদুল হাইকোর্টে আরও একটি আবেদন করেন। যাতে বলা হয়, আদালতের নির্দেশমতে ইসি ৩০ দিনের মধ্যে তার আবেদন নিষ্পত্তি করেনি। এ আবেদনের পর ০৭ আগস্ট হাইকোর্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে নিজে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনে করা জাহিদুলের আবেদন তদন্ত করতে বলেন।
 
এ রুল জারির পর গত ১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে লড়তে আইনজীবী ইয়াসীন খান আদালতের অনুমতি নেন। এবং পরে ছয়জন হাইকোর্টের হলফনামা শাখায় এসে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন।  

আইনজীবী ই‌য়াসীন খান বলেন, ‘জাহিদুলকে ২৩ মে ও ১৮ জুলাই দেওয়া চিঠি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার আবেদনের তদন্ত করা হয়েছে। ওখানে অনিয়ম পাওয়া গেছে। এখন এসব বিষয়ে আদালতে হলফনামা দেবো। তারপর মূল রিট নিষ্পত্তি হলে ওই ইউপিতে নিয়ম অনুসারে নির্বাচনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।        
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।