ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

আদালত

সিমির বাবার আপিলের শুনানির পথ খুলল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৭
সিমির বাবার আপিলের শুনানির পথ খুলল

ঢাকা: ঘটনা ২০০১ সালের। বখাটেদের অপমান সইতে না পেরে ২৩ ডিসেম্বর বিষপানে আত্মহত্যা করেন নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী সীমা বানু সিমি। তবে মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়ার চিরকুটের সূত্র ধরেই মামলা। পরে রায় দেন বিচারিক আদালত।

রায়ে পাঁচজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে আপিল করেন সিমির বাবা।

আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণও করেছিলেন।
 
কিন্তু আসামিরা এ আবেদন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট প্রথমে রুল ও স্থগিতাদেশ দিলেও পরে আসামিদের আবেদন খারিজ করে দেন। এরপরও আসামিরা থেকে থাকেননি। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন আপিল বিভাগে।
 
বুধবার (০৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আসামিদের আবেদনের নিষ্পত্তি এবং এক যুগ আগে করা সিমির বাবার করা আপিল আবেদন রিভিশন হিসেবে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।    
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
 
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করা সীমা বানু সিমি আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লিখে যান। সেই চিরকুটের সূত্র ধরে খিলগাঁও এলাকার দোয়েল, খলিল, মোফাজ্জল, রিপন, খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক বাশার ও তাদের সহযোগিতাকারী এনায়েত চৌধুরীর নাম আসে।
 
রায়ে ওই ছয় আসামির পাঁচজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।