বুধবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ মার্জনার এ আদেশ দেন।
আদালতে ইকবালের পরিবারের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তারা নির্ধারিত সময়ে আপিল করেননি। পরে (বিলম্বে) আপিল করেছেন। বিলম্বের বিষয়টি মার্জনা করেছেন হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। আমি বিরোধিতা করেছি। কারণ, আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের পর জামিন চাইতে পারেন তারা। আদালত তাদের জামিন দেননি। এখন যেকোনো সময় তাদের আবেদনটি গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসতে পারে’।
২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ডা. ইকবালের পরিবারকে সম্পত্তির বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। একই বছরের ২৪ মে ইকবাল, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ১১ মার্চ ইকবালকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর এবং মিথ্যা সম্পদের বিবরণী দাখিলের কারণে আরও তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে তার স্ত্রী মমতাজ বেগম, দুই ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ও মঈন ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবালকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
পরে ইকবাল আত্মসমর্পণ করেন এবং হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। তবে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও মেয়ে আদালতে কখনো আত্মসমর্পণ করেননি। কিন্তু হাইকোর্টে আবেদন করলে তাদের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ নভেম্বর আপিল আবেদন করে দুদক। ২৭ নভেম্বর আপিল বিভাগ তাদের সাজার কার্যকারিতা স্থগিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। এর ফলে ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম, দুই ছেলে মঈনুদ্দিন ইকবাল ও ইমরান ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবালকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে ওইদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন দুদুকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এ আদেশের পর ইকবালের পরিবারের সদস্যরা গত ০৮ মার্চ বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
ইএস/জিপি/এএসআর