সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন নজরে এলে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এ আদেশ দেন।
হাসপাতালে যাওয়ার পরও ওই নারীকে তার প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং দায়ী ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে ওই নারীকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা কেন হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী ৫ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রুলে বিবাদী করা হয়েছে স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সমাজকল্যাণ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের পরিচালক, আজিমপুর মাতৃসদনের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে।
আদালত বলেন, ‘আমরা খুবই মর্মাহত। তিনটি হাসপাতাল ঘুরে পারভীন প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা পেলেন না। মাত্র ১৫০০ টাকার জন্য রাস্তায় তাকে সন্তান প্রসব করতে হয়েছে। চিকিৎসায় অবহেলার কারণে সেই নবজাতকও মারা গেল। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটা সভ্য দেশে এটা অত্যন্ত গর্হিত, নিন্দনীয় অপরাধ। ’
‘অন্তঃসত্ত্বা পারভীন আক্তার গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারের পাশেই থাকতেন। গর্ভে সন্তান রেখে স্বামী তাকে ছেড়ে গেছে অনেক আগেই। ’
গত মঙ্গলবার প্রসব বেদনা নিয়ে তিনটি সরকারি হাসপাতালে যান পারভীন নামে এক নারী। তিনটি হাসপাতালের কোনোটিতেও স্বাস্থ্যসেবা পাননি তিনি। পরে রাস্তার ওপরই তার সন্তান প্রসব হয়। তবে জন্মের পরপরই শিশুসন্তানটি মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
ইএস/এমএ/